Friday, February 23, 2018

কোলকাতা

শুনিনি কোলকাতা ছেড়ে গেছে কেউ আর ভালো আছে
শুনিনি কখনো কেউ সুখে গেছে, কোলকাতা ছাড়িয়ে ...
সেখানে সন্ধেবেলা ধূপ ধুনো শাঁখ
রাস্তা হারিয়ে ফেলা ফেরিওয়ালা ডাক
আলতো শীতের ওম, লেপ মুড়ি শুড়ি
দেওয়া দুপুরবেলারা, কমলা লেবুর কোয়া
ছাড়ানো অলস দম্পতিরা আছে ভিক্টোরিয়া
প্রাঙ্গন জুড়ে; নোংরা ও ধ্বস্ত চরাচর
ছেয়ে আছে না রাখা কথারা, আনহোনী মায়া
কখনো হলোনা ঠিকমত, কোলকাতা ছেড়ে যাওয়া

পুজো

একডালিয়ার প্যান্ডেল নেই, কলেজ স্ট্রীটের রোশনাই, 
আমাদের পুজো বড় মাপামাপি, দিন আনি আর দিন খাই। 
নাটকের প্রপ বড় দুর্লভ, ডিনার ও তো চাই শস্তা, 
ডেকরেশন কি বাজেট ছাড়ালো? মুড়ি আনো এক বস্তা।
হলের ভাড়াটা কমানো গেলোনা, দুপুরের খাওয়া তাও ফ্রি, 
গ্র্যজুএট ছানা, কি ভাবে বলুন পনেরোর বেশী চাঁদা দি?
প্রতিবারই ভাবি, এবারেই শেষ, আমরা সবাই ক্লান্ত,
তবু দিন শেষে, ফুরোয়না কিছু, সকলই থাকে বাড়ন্ত।
রাত জেগে কাজ, আড্ডা ও গান, ভালোবাসা, অভিমানে,
স্টেট কলেজের পুজো বেঁচে থাক আমাদের মনে প্রাণে।

আগেকার কবিতা

সে ভীষণ মন কেমনিয়া মেঘ
এসেছিল আকাশের কোণে
বালিকা নাকছাবি তার
ভুলে এলো হলুদের বনে
বালিকার তনু মন জুড়ে
ছেয়ে আছে গভীর বিষাদ
অঙ্ক মেলেনি কিছু আজ
ওই এক ছিল পরমাদ
ধুপ ধূনো দেয় অভ্যাসে
বালিকা, তুলসী মঞ্চটি সুখী গৃহকোণে
মনোরম গৃহপাট রয়েছে সকলি
বৃথা সরসী শুকালো আজ নিদাঘ তপনে
গৃহে তার ধনধান্য, তার সাজানো বাগানে
ফুটেছে মল্লিকা, কোকিলেরা কুহু ডাকে
তবু আহির ভৈরবী মাঝে বাজে ছায়ানট
বালিকার প্রিয়জন পরবাসে থাকে