নিশিরাত বাঁকা চাঁদ আকাশে, ঘুম এসে গেছে গেছে, এইসময় হঠাত নরেন্দ্রপুর ভেসে উঠলো। প্রায় অলৌকিক। এবং যথারীতি, মনটা ভয়াবহ উদাস হয়ে গেল। অভেদানন্দ ভবনে প্রেয়ার হলের একটা জানালা দিয়ে নিচের ডাইনিং হলটা দেখা যেত, পুরোটা নয়, বাসন ধোয়ার জায়গাটা, আর তার পাশের একটা গাছ, সেইখানে প্রথম শরত এর রং লাগত। তারপরে তো মহালয়া আসবে, প্রেয়ার হলে বসে প্রায় ঢুলতে ঢুলতে আমরা গাইব অয়ি গিরি নন্দিনী, শুধু ওই অয়ি সুমনঃ সুমনঃ এর জায়গাটায় এসে সক্কলের ঘুম ভেঙ্গে যাবে আর এক অপূর্ব ব্রহ্মনাদ হোস্টেলের ছোট্ট ঘর, ইস্কুল বিল্ডিং, প্রায় কারাগার এর মত নির্মম স্টাডি হলের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে যাবে আদিগন্ত চরাচরে। পাশের বাগানে কামাতুর গাই হরিণীরা ঘুমিয়ে রয়েছে তখনো; মধ্যযামে ধূপের গন্ধ ছেয়ে ছিল নিস্তব্ধ বাঁশঝাড়ে, সেও তখনো তন্দ্রায়। শুধু আমাদের উপাসনা ঘর ঘিরে ধরছে নরম রোদ্দুর আর আমরা গেয়ে উঠছি "ঝণঝণ ঝিঞ্জিমি ঝিঙ্কৃতনূপুর সিঞ্জিত মোহিত ভূতপতে" । সেসকল অন্য এক মায়াময় পৃথিবীর গল্প।
No comments:
Post a Comment